ছোটবেলায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাওয়া মেয়েটি যে মাত্র ১৭ বছর বয়সে কেবলমাত্র কৌতুহলবশত Harvard Medical School এর কোর্সে এনরল করে The Impact of COVID-19 on telehealth এ সফলতার সাথে সকল ক্রেডিট কমপ্লিট করে সার্টিফিকেট অর্জন করবে তা কে জানতো!
বলছি শেখ সাবিলা আফরিন সুতপার কথা যার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতে। ২০০২ সালের ১৩ই ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা এস, এম, শহীদুল্লাহ Crystal Insurance PLC এর সিইও এবং মা গৃহিণী। বড় বোন এম.বি.বি.এস. ডক্টর।
সাবিলা আফরিন ২০১৮ সালে ঢাকার উত্তরা হাইস্কুল থেকে এস.এস.সি তে GPA-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন এবং পরবর্তীতে ঢাকার সেরা হলি ক্রস কলেজে ভর্তি হন এবং সেখানেও কৃতিত্বের সাথে ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
মহামারী করোনার সময় লকডাউনে বাসায় বোরিং লাগায় সে কৌতূহলবশত গুগলে সার্চ দিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন অনলাইন কোর্স নিয়ে জানতে পারে। তখন তার স্বপ্ন জাগে সেও এরকম কোর্সে এনরল করবে। ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর।
বিকেলে সে ইউটিউবে Harvard Medical School এর এই কোর্সটি সম্পর্কে জানতে পারে এবং এক মুহুর্ত দেরি না করে সে The Impact of COVID-19 on Telehealth নামক কোর্সে এনরল করে। একটি রেকর্ডেড ক্লাস শেষ হলে ১০ টি মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেনের উত্তর সঠিকভাবে সম্পন্ন করলে তার ইমেইল অ্যাকাউন্টে সার্টিফিকেটটি চলে আসে।
সাবিলা আফরিন বর্তমানে ঢাকার একটি নামকরা ডেন্টাল কলেজে ৩য় বর্ষে পড়াশোনা করছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি সে বিগত দুই বছর ধরে অমর একুশে বইমেলায় বই প্রকাশ করেছেন। ২০২৪ সালের বইমেলায় তার লেখা মেডিকেল থ্রিলার “ক্ষণভঙ্গী স্মৃতির জোছনা” বইটি প্রকাশিত হয় এবং এবছর “মাতৃত্ব” নামক বইটি ঈদসংখ্যায় প্রকাশিত হতে চলেছে।