শ্রেষ্ঠ নবীর শ্রেষ্ঠ মুজিযা

মুরাদ আলী / ৬৯ Time View
সময় : শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫

ইসলামের ইতিহাসে পবিত্র মিরাজের রাত ও ঘটনাসমূহ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যময়।২৭ রজবের রাতকে শবে মিরাজ বলা হয়। এ রাতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহর কুদরতে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ঊর্ধ্বাকাশে গমন করেন এবং আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

 

পবিত্র কুরআনের সুরা বনি ইসরাইলে এরশাদ হয়েছে- পবিত্র সত্তা তিনি, যিনি বান্দাকে তার নিদর্শনগুলো দেখানোর জন্য রাত্রিকালে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যার পরিবেশ পবিত্র, নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।পবিত্র মিরাজের যাত্রা শুরু হয় মসজিদে হারাম থেকে। হযরত জিব্রাইল (আ.) বোরাকে করে রাসুলে পাক (সা.)-কে বায়তুল মোকাদ্দাস নিয়ে যান। সেখানে তিনি দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। ওই নামাজে নবীজি (সা.) সব নবীর ইমামতি করেন। তারপর তিনি বোরাকে চড়ে ঊর্ধ্বে গমন করতে থাকেন।

 

একের পর এক আসমান অতিক্রম করেন। রাস্তায় হযরত ণমুসা (আ.)-সহ বেশ কয়েকজন নবী-রাসুলের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। সপ্তম আসমানের পর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বায়তুল মামুর পরিদর্শন করানো হয়। সেখানে রাসুলে পাক (সা.) স্বচক্ষে জান্নাত ও জাহান্নাম অবলোকন করেন। সেখানে অনেক পাপের শাস্তি প্রত্যক্ষ করেছেন। সুবিশাল নভোমণ্ডল পরিভ্রমণ, আরশ-কুরসি প্রভৃতি সামনাসামনি সশরীরে দেখা, সর্বোপরি মহান রবের সঙ্গে পবিত্র দিদার লাভসহ অবলোকন করেছেন সৃষ্টিজগতের অপার রহস্য।

 

কোনো কোনো বর্ণনায় আছে, মিরাজের রাতে রাসুলে পাক (সা.) আল্লাহ তায়ালার এতটা কাছাকাছি গিয়েছিলেন যে, দু’জনের মধ্যখানে মাত্র এক ধনুক পরিমাণ ব্যবধান ছিল। এখানে রাসুলে পাক (সা.)-এর উম্মতের ওপর ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়।

 

ফিরে আসার সময় হযরত মুসা (আ.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তিনি নবীজিকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনার রব আপনার উম্মতের ওপর কী ফরজ করেছেন? নবীজি বললেন, ৫০ ওয়াক্ত নামাজ। তিনি বললেন, আপনি মহান রবের কাছে ফিরে যান এবং আরও কমিয়ে আনার আবেদন করুন। এতটুকু পালনের সাধ্য আপনার উম্মতের নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category