এক্সিকিউটিভ অর্ডার’ বা নির্বাহী আদেশ কী? কেন মার্কিন প্রেসিডেন্টরা জারি করেন?

মুরাদ আলী / ৫৯ Time View
সময় : শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫

মার্কিন সরকারের নীতিতে নিজের প্রভাব রাখতে প্রেসিডেন্টদের মূল হাতিয়ার এক্সিকিউটিভ অর্ডার বা নির্বাহী আদেশ। ক্ষমতা নেয়ার পর সেই হাতিয়ার ব্যবহারে এক মুহূর্তও দেরি করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প।

 

শুরুতেই বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন মি. ট্রাম্প। সব মিলিয়ে একশোর বেশি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ইতোমধ্যে।

 

সংখ্যাটা দুশো পেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথাও শোনা গিয়েছিল।

 

দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাহী আদেশের ঝড় তুলবেন বলে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার আক্ষরিক বাস্তবায়ন করে দেখালেন দেশটির ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট

এই এক্সিকিউটিভ অর্ডার আসলে কী? আর কেনই বা এটি জারি করা হয়?

 

এক্সিকিউটিভ অর্ডার কী?

এক কথায় এক্সিকিউটিভ অর্ডার হলো যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে দেয়া একটি লিখিত আদেশ, যার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হয় না।

 

অর্থাৎ, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত জারি করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

 

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ বলে প্রেসিডেন্ট এই আদেশ জারি করার ক্ষমতা পান।

 

ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা একজন প্রেসিডেন্টের ওপর অর্পিত হবে।”

 

নির্বাহী আদেশের বদৌলতে সাধারণ ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পরিবর্তন থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন নীতি নাটকীয়ভাবে পুরোপুরি উল্টে যাওয়ার ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে পারে।

এই যেমন সোমবার প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। এর ফলে জলবায়ু সংক্রান্ত আগের মার্কিন নীতির উল্টো পথে হাঁটা শুরু করলেন তিনি।

 

এর আগে ২০১৭ সালে বিতর্কিত দুটি তেল পাইপলাইনের নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিলেন তিনি। যা পূর্বসূরী ওবামা প্রেসিডেন্সির নীতিগত অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত।

 

ওবামা আমলে ২০১৫ সালে ক্রিসমাস ইভে (বড়দিনের আগের সন্ধ্যা) সরকারি দপ্তরগুলো আধাবেলায় ছুটি দেয়ার মতো সাধারণ সিদ্ধান্তও নির্বাহী আদেশে পাল্টে দেয়ার নজির আছে মি. ট্রাম্পের


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category